বাঙ্গালীর স্বাধীনতা
কামরুজ্জামান
নতুন রূপে জেগে উঠে আবার উর্বরহীন ভূমি,
লক্ষ প্রাণের নিঃশ্বাসে বন্ধু মিসে আছো তুমি।
ধ্রুবতারা হয়ে জেগে ওঠো যখন গগনের গায়,
পুলকে রোমাঞ্চিত হয় তখন এ দেশ মহাবিস্ময়।
এক সময় স্তরে-স্তরে নদীর তীরে জেগে ওঠে চর,
উৎসুক সুখ-প্রশান্তিতে উন্মুখ-জাগ্রত হয় অন্তর।
যখন দেখি বৃক্ষ শাখে ফোটে সবুজ কচি পাতা,
বঙ্গ রমনী ভোলে তখন স্বামী বা পুত্র শোকের ব্যথা।
প্রভাতের উজ্জ্বল রোদে যখন তুমি দাঁড়ালে এসে,
সর্বহারা চির দুখিনী আমার বৃদ্ধা মায়ের পাশে।
ত্রিশলক্ষ শহীদের মৃত প্রাণ তখন খুশিতে ওঠে হেসে,
ছয় কোটি নর-নারীর বক্ষ তখন সুখের গর্বে ভাসে।
ভোরের ঐ স্বাধীন সূর্যের মত বাংলার আকাশে,
স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা ওড়ে বাতাসে।
চেয়ে থাকে শিশির বিন্দু জড়িয়ে শ্যামল ঘাসে,
এ দেশের প্রতিটি বৃক্ষ নীরবে তোমায় ভালবাসে।
কারারুদ্ধ হয়েও যে দিলো দেশ প্রেমের প্রমাণ,
আপন পরিবার ছেড়ে যে সঁপে দিয়েছে প্রাণ।
রুদ্ধ নভে মুক্ত করে যে উড়ায় স্বাধীনতার নিশান,
সে আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জীবনের মায়া ত্যাগ করে যে করলো আহবান
পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে যে করলো খান-খান
বৈষম্য ভুলে মুক্ত বিহঙ্গে যে গাইলো সাম্যের গান,
স্বাধীন বাংলার বন্ধু সে শেখ মুজিবুর রহমান।
তুমি এনে দিয়েছো আজ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা,
কবিতা গানে শেষ হবে না তোমার গুনের কথা।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যদিও লেখার নেই ক্ষমতা,
ভালোবেসে লিখি তবুও আমি তোমার কবিতা।
রচনাকাল:২৬/১১/২০১৭
☆মোচড়া/আখড়াখোলা/সাতক্ষীরা/বাংলাদেশ☆