জন্মান্তর
এন. এন. মুন
নিত্য সঙ্গোপনে কথা হয় হৃদয়ের সাথে
কয়েকটা নতুন ক্ষতের পদচারণা সেখানে।
কিছুটা রক্তক্ষরণ, পুরানোগুলি আবরণে ঢাকা।
তবুও চলছে নাটকীয় জীবনেতিবৃত্তের চাকা।
প্রবাহমান জীবন নদীতে ভাটার তাণ্ডব বয়,
পরিচিত মুখগুলি ক্রমান্বয়ে কালেরগর্ভে হারায়!
পড়েথাকে শুধু পরবাসী সব স্মৃতি
জীবনকে ধাবমান করে সময় মহারথী।
আজ আবার সেই কোজাগরী পূর্ণিমা
পুরো উঠোন জুড়ে তোর আবছায়া,
রুপালি জ্যোৎস্নাস্নাত স্বপ্নালু পৃথিবী
দীঘির কালো জল, বাঁশবনে মায়াবী জোনাকি,
নিস্তব্ধ প্রকৃতি, আর -অপেক্ষারত আমি।
আহত পশুর ন্যায় রক্তাপ্লুত হৃদয়ে –
অজ্ঞাতসারে ও পারি না তোর নির্বাসনের দায় এড়াতে।
খোকা,আমাদের খোকা এখন ডাক্তার
কোন নবজাতক মাকে হারাবে না আর।
গ্রামটা প্রায় স্বাবলম্বীর পথে…
অনেক বাঁধা এখন, কিশোরীর কৈশোরকাল হরণ করতে।
বুলবুলিটা যেন তোর ছায়া, খোকার উত্তরসূরি
উচ্ছল, ছুটে চলা এক আদুরে নদী।
তার তরঙ্গিত জলধারায় সব কষ্ট বিসর্জন দিতে হয়
সে যেন জন্মান্তরে ফিরেছে তোর সত্ত্বায়।
২৫/১০/২০১৮ খ্রি:
পটুয়াখালী
মুসলিম পাড়া।








